অনলাইন ডেস্ক :: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত বন কেটে সাবাড় করে ফেলছে। ধ্বংস করছে পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র। রোহিঙ্গাদের সৃষ্ট মানব বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনাও জরুরি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ওয়ার্ল্ড আরবান ফোরামে ‘পরিবেশগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পৌর স্যানিটেশন ও সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধান’ বিষয়ক নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে সভাপতির বক্তব্যে গণপূর্ত মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক। ঘানার ডেপুটি মিনিস্টার কাওয়াসি বোটেং এজিই এবং ইউএন হ্যাবিটেটের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হিউম্যান সেটেলমেন্ট প্রোগ্রাম প্রধান আতসুশি কোরেসাওয়া বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ইভেন্টে বাংলাদেশ ও ঘানার প্রতিনিধিবৃন্দ নিজ নিজ দেশের বিভিন্ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ সরকার নগর এলাকায় আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। একই সাথে টেকসই নগরায়ণের মাধ্যমে স্মার্ট সিটি গড়ার লক্ষ্যে পরিবেশ সুরক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিদ্যমান নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও নতুন আরবান এজেন্ডা হতে পারে উত্তম পন্থা। এক্ষেত্রে সারা বিশ্বকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।”
পাঠকের মতামত: